logo
চৌকিবাড়ী মোস্তফাবিয়া দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদরাসা
একদন্ত, আটঘরিয়া, পাবনা, স্থাপিতঃ- ১৯৯৪ ইং

সাম্প্রতিক খবর
প্রয়োজনীয় বিষয়াদী
শিক্ষকগণের তথ্য
গভর্নিং বডি/ম্যানেজিং কমিটির তথ্য
কর্মচারীগণের তথ্য
নোটিস বোর্ড
ডাউনলোড কর্ণার
একাডেমিক ফলাফল
বোর্ড ফলাফল
এডমিন প্যানেল
গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক
Public Library
NCTB
Ministry of Education
Bangladesh Portal
JSC eSIF 2015 *
ফটো অ্যালবাম

zaman

College Field

Teacher

Our LAB

সবগুলো দেখতে এখানে ক্লিক করুন
  • College Field
  • ???? ?????
  • College Building

একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মাদ্রাসা শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ বজায়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সার্বিক ও সুষম বিকাশ সাধন। আর এর সিংহভাগ দায়িত্ব বর্তায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান প্রধান বা অধ্যক্ষের উপর । অধ্যক্ষের কর্মকুশলতা, দক্ষতা, দূরদর্শিতা ও পরিবর্তনে বিশ্বাসী মন মানসিকতার উপর গোটা মাদ্রাসা, সমাজ তথা রাষ্ট্রীয় উন্নতি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। প্রত্যেক অধ্যক্ষ তাঁর প্রতিষ্ঠানটি আলাদা স্বকীয়তায় পরিচিতি পাক। আর এজন্যই প্রয়োজন কৌশলগত পরিকল্পনা বা Strategic Plan যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে কর্ম আদায় করার কৌশল  অবলম্বন করা, যা কেবল চিন্তায় নয় বাস্তবে রূপ দেয়া।
পরিকল্পনা মানেই হচ্ছে, কোন কাজের জন্য পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ, আর এ পরিকল্পনাকে কর্মপরিকল্পনায় রূপ দিয়ে তাতে কৌশলগত প্রত্যয়ের উপর জোরারোপের মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জন। কোন প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বের ধরণ, প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের দক্ষতা, ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জসমূহ ও প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিবেচনায় রেখে তা অর্জনের জন্য যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় সেটিই কৌশলগত পরিকল্পনা।  কৌশলগত পরিকল্পনায় বর্তমানের অবস্থানকে বিবেচনায় রেখে প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যত লক্ষ্য অর্জনের জন্য উদ্দেশ্যসমূহকে সুবিন্যস্ত করা হয় এবং এর উপর ভিত্তি করেই কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হয়।
Dream Madrasah  এর রূপায়নে কৌশলগত পরিকল্পনা (Strategic Planning) ধারণা, ধাপ, বৈশিষ্ট্য ও প্রয়োগ

লক্ষ্য অর্জনের জন্য স্বল্প সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা, প্রতিষ্ঠানের সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ, প্রধান সমস্যাসমূহ চিহ্নিতকরণ ও তা নিরসনের জন্য ধারাবাহিক কর্মসুচী বাস্তবায়ন এর জন্য Strategic Planning বা কৌশলগত পরিকল্পনার গুরুত্ব অপরিসীম। Strategy শব্দটি গ্রীক “Stragos”  যার অর্থ সেনাবাহিনী এবং “Agos” অর্থ পরিচালনা। নিশ্চিত লক্ষ্য অর্জনের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার কাঠামো হচ্ছে কৌশলগত পরিকল্পনা। কৌশলগত পরিকল্পনায় মুলত প্রতিষ্ঠানের বর্তমান অবস্থা বিশ্লেষণপূর্বক সুদূরপ্রসারী ভবিষ্যতের লক্ষ্য নির্ধারণ ও তা অর্জনের জন্য উদ্দেশ্যভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ন ও অগ্রগতি নিরুপনের জন্য নির্ধারকসমূহ প্রনয়ন করা হয়।

মাদ্রাসা একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে শিক্ষার গুরুত্ব সর্বাধিক। দক্ষ ও নৈতিকতাসম্পন্ন দেশপ্রেমিক নতুন প্রজন্ম গড়ার মূল দায়িত্ব পালনে শিক্ষায়তনগুলোকে কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তার সফল বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে। প্রতিটি মাদ্রাসার নিজস্ব সম্পদ, সাংগঠনিক সূযোগ সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা, স্থানীয় জনগণের প্রত্যাশা ইত্যাদি বিষয়কে বিবেচনায় রেখে মাদ্রাসার লক্ষ্য নির্ধারণ ও তা ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নেয়ার জন্য কৌশলগত পরিকল্পনার ব্যবহার যুগান্তকারী সাফল্যের সৃষ্টি করতে পারে।

কৌশলগত পরিকল্পনা মূলতঃ ইস্যু বা সমস্যা চিহ্নিত করা এবং তা সমাধানের পথ নির্ধারণের একটি প্রক্রিয়া। ষ্ট্রাটেজিক বা কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়নে কতকগুলো পর্যায় বা ধাপ রয়েছে। একটি সুসংহত প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে এই ধাপসমূহ অতিক্রম করে পরিকল্পনাকে বাস্তবায়নযোগ্য করা হয়। কৌশলগত পরিকল্পনার ধাপসমূহ নিম্নরূপ


রূপকল্প (Vision) – একটি মাদ্রাসার রূপকল্প প্রণয়নে একটি বাস্তবায়নযোগ্য স্বপ্নের দরকার। এজন্য শিক্ষক, ছাত্র, অভিবাবক ও শিক্ষাবিদদের প্রত্যাশা, স্বপ্ন আর আকাংখার শাব্দিক প্রতিফলন। মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট সকলের মতামতের ভিত্তিতে একটি Dream Madrasah এর স্বাপ্নিক কাঠামো নির্ধারণ করতে হবে। আর এই কাঠামোর উপর ভিত্তি করেই রচিত হবে রূপকল্প বা Vision.
ব্রত (Mission) – একটি বিদ্যালয় তার আগামী দিনগুলোতে Stakeholder দের কোন কোন প্রত্যাশাগুলো পুরন করতে চায় যা মাদ্রাসার তার ভবিষ্যত লক্ষ্য পুরণে কোন কোন কাজসমূহ সম্পন্ন করতে চায় তা Mission Statement এ বিবৃত হয়।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য (Goals & Objectives) - Mission Statement এর সমন্বিত আকাংখার বাস্তবায়নে Component ভিত্তিক  লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ স্থির করতে হয়। উদাহরণস্বরূপ, একটি শিক্ষার মান উন্নয়নের Mission কে সামনে রেখে তা অর্জনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ স্থিও করতে হয়, যাতে লক্ষ্য অর্জনের জন্য নির্দিষ্ট ধাপসমূহ অতিক্রম করা সহজতর হয়।

কৌশল নির্ধারণ (Strategy Formulation) – একজন দক্ষ প্রতিষ্ঠান প্রধান আভ্যন্তরীণ সুবিধাসমূহ ব্যবহার করে বাইরের হুমকিসমূহ এবং বাইরের সুবিধাসমূহ ব্যবহার করে মাদ্রাসার আভ্যন্তরীণ সীমাবদ্ধতাসমূহ দূর করার কৌশল নির্ধারণ করতে পারেন। পাশাপাশি কাংখিত লক্ষ্যসমূহের কোনটি অর্জনে কাদের সহায়তা নেবেন ও দায়িত্ব প্রদান করবেন সেটিও নির্ধারণ করতে হয়।  এর ফলে বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে বাঁধা বিপত্তির পরিমাণ অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।বাস্তবায়ন (Implementation) – মাদ্রাসার লক্ষ্য অর্জনে নির্ধারিত কৌশলসমূহ ব্যবহার করে সাফল্য অর্জনই কৌশলগত পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন। আর এর জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে প্রণোদনা ও পূর্ণাঙ্গ মান অর্জনের মানসিকতা সৃষ্টি করতে হবে।

 


এক নজরে গুরুত্বপূর্ণ মেন্যু